কিন্তু ফিল্মের অভাবে এখনো সিটিস্ক্যান কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে সরকারি হাসপাতাল থেকে স্বল্পমূল্যে সিটিস্ক্যান করানোর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, অতি শিগগিরই সিটিস্ক্যান ফিল্ম কেনা হবে।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে সরকার। ২০১০ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হাসপাতালটি মেডিকেল কলেজের ফ্যাকাল্টি ঘোষণা দেয়। নিজস্ব চিকিৎসকের পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের ১৯ বিভাগের চিকিৎসক রোগীর সেবায় দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখানে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উন্নত কোনো মেশিনারিজ ছিল না।
মান্ধাতা আমলের মেশিন দিয়ে চলতো প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা। ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সংযোজন হয় নানা রকমের ডিজিটাল যন্ত্রপাতি। একে একে স্থাপন হয় ২৫ প্রকারের অত্যাধুনিক মেশিন। এরমধ্যে ডিজিটাল এক্সরে ও আল্ট্রাসনো মেশিন, জরায়ু ক্যান্সার নির্ণয়ে মেশিন উল্লেখযোগ্য। এসব আধুনিক যন্ত্রের সুফল পেয়ে খুশি হন রোগী ও স্বজনেরা।
বাড়তি টাকা খরচ করে বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করানো থেকে তারা মুক্তি পান। পরে অনুমোদন মেলে সিটিস্ক্যান মেশিনের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের ১ মাস অতিবাহিত হলেও সিটিস্ক্যান কার্যক্রম শুরু হয়নি। অথচ সিটিস্ক্যান কার্যক্রম শুরু মানেই যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়া।
হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট বিভাগের টেকনিশিয়ান মৃত্যুঞ্জয় রায় জানান, মেশিন স্থাপন হলেও কোনো ফিল্ম সরবরাহ করা হয়নি। তাই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালে কার্যক্রম শুরু হলে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কম টাকায় সিটিস্ক্যান করাতে পারবে রোগীরা। উন্নতমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ১২৮ স্লাাইসের সিটিস্ক্যান মেশিনে রোগীর সিটি এনজিও গ্রামের মাধ্যমে হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের রক্তনালীর রক্ত প্রবাহের দৃশ্য এবং রক্তনালীর সংকোচন খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, সিটিস্ক্যান মেশিন স্থাপনের পর কোম্পানি টেস্টিং ফিল্ম সরবরাহ করেনি। তাই ফিল্মের অভাবে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এমএসআরের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ফিল্ম কিনে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরএমও আরও বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করা হয়নি। ফলে ফান্ড তৈরি করে ফিল্ম কেনার বিষয়টিও আলোচনা হয়নি।